1. admin@kishoreganjfiles.com : admin :
হোসেনপুরে ভাঙ্গা ঝোপড়ি ঘরে দিন কাটছে বৃদ্ধা ফজিলার, একটি ঘরের আকুতি – কিশোরগঞ্জ ফাইলস
সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অসুস্থ কর্মচারীকে দেখতে সৌদি মালিক হোসেনপুরে হোসেনপুরে বসতঘর থেকে দুই মেয়েসহ প্রবাসীর স্ত্রী’র মরদেহ উদ্ধার নিকলীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন ৭২ ঘন্টা অবরোধের মধ্যেও বুধবার কিশোরগঞ্জে অর্ধবেলা হরতাল ভৈরবে এগারসিন্দুর ট্রেনের পেছনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২০ নিকলীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়ায় যানজট নিরসনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা হোসেনপুরে ট্রাক চাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত পাকুন্দিয়ায় নানান আয়োজনে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালিত করিমগঞ্জে ১ হাজার লিটার দেশীয় মদসহ গ্রেফতার ৩

হোসেনপুরে ভাঙ্গা ঝোপড়ি ঘরে দিন কাটছে বৃদ্ধা ফজিলার, একটি ঘরের আকুতি

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৮৪০ বার পঠিত

সঞ্জিত চন্দ্র শীল, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে এক হতদরিদ্র বৃদ্ধা তার থাকার ঘরটি সংস্কার কিংবা নতুন একটি ঘর তৈরি করে দেওয়ার মানবিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ছাড়াও সমাজের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে।

গত কয়েকদিনের মুষলধারে বৃষ্টি যেন অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে হতদরিদ্র বৃদ্ধা ফজিলার । কারণ ওই বৃষ্টির পানিতে তার ঘরের সবকিছুই ভিজে বাসযোগ্যহীন হয়ে পড়ে। কেননা ভাঙা চালার একমাত্র ঝোপড়ি ঘরই যে তার সহায় সম্বল। তাই রোদ বৃষ্টিকে সঙ্গী করেই এ ঝোপড়ি ঘরে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন হতদরিদ্র বৃদ্ধা ফজিলা খাতুনের।

তার বাড়ি কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পুমদি ইউনিয়নের বর্শিকুড়া গ্রামে। ফজিলার স্বামী সুরুজ মিয়া দীর্ঘদিন আগে থেকেই তাকে ছেড়ে আরেক বউ নিয়ে সংসার করছেন। একটি মাত্র ছেলেও বউ সন্তান আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত। ভাঙা একটি ছোট্ট ঝোপড়ি ঘরেই কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছেন ফজিলা।

গত বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরানো টিনের ভাঙা চাল আর ভেড়ার একটি ঝোপড়ি ঘরে বসবাস করছেন বৃদ্ধা ফজিলা৷ তার ঘরের সবকিছুই বৃষ্টির পানিতে ভেজা। নিজের কোনো সহায় সম্বল নেই যে তিনি নতুন একটি ঘর তৈরি করবেন। এ সময় বৃদ্ধা ফজিলা জানান, বৃষ্টিতে ভিজেই প্রতিনিয়ত এ ঘরেই তার থাকতে হয় তার। ঘরটি মেরামত করার মতো তার কোনো সহায় সম্পদ নেই৷তাই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তিনি কিছু টিন অথবা একটি ঘরের আকুতি তার। যেন বাকী জীবন একটু শান্তিতে বসবাস করতে পারেন ৷

এই বিষয়ে পুমদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল খাইয়ুম জানান, আপনার মাধ্যমে বিষয়টি আমি জেনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কয়েক জন এলাকাবাসী জানান, বৃদ্ধা ফজিলা খেয়ে না খেয়ে দিন পার করে। তার মূত বাবার ভিটা ছাড়া আর কোন অর্থ সম্ভবল নেই যে ভাংগা ঘরটি মেরামত করবে। বৃষ্টি এলেই এই ভাংগা ঘরটিতে বসে ভিজে আর কান্না করে আল্লাহ কাছে মোনাজাত করে কেউ যদি আমাকে একটি নতুন ঘর করে দিতোও তাহলে আমি শেষ বয়সে নতুন ঘরে শুয়ে মরেও শান্তি পেতাম।

এই সংবাদের মন্তব্যের জন্য ‘কিশোরগঞ্জ ফাইলস’ কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এর দায় ‘কিশোরগঞ্জ ফাইলস’ কর্তৃপক্ষ নিবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর
© All rights reserved © 2022 Kishoreganj Files
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা বা ছবি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া নকল করা বেআইনি।
Theme Customized By Theme Park BD