আবু হানিফ, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের মাওলানা আবদুল বারী (রা:) এর সাত ছেলে। সাত ভাইয়ের একত্রে ওমরাহ হজ্ব পালনের বিষয়টি বিরল হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই মনে করেন, বর্তমান আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভাইয়ে- ভাইয়ে এমন দৃঢ়-বন্ধন খুব কমই চোখে পড়ে। অনেকের দৃষ্টিতে, এক বাবার দুই পরিবারের সন্তানদের পবিত্র ও মহৎ কাজের এমন দৃষ্টান্ত সকলের জন্য শিক্ষণীয়।    

একসঙ্গে ওমরাহ হজ্ব করতে যাওয়া সাত ভাইয়ের সবাই বর্তমানে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। তারা হলেন: (১) মাওলানা শিব্বির আহমদ সোবহানী (আঙ্গুর), খতিব, কিশোরগঞ্জ ইকোনমিক জোন জামে মসজিদ, পুলেরঘাট, কিশোরগঞ্জ; (২) ড. ফরিদ আহমদ সোবহানী (বকুল), প্রফেসর, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা; (৩) ছহুল আহমদ সোবহানী (রায়হান), স্বত্তাধিকারী, সোবহানী ট্রেডার্স, পুলেরঘাট, পাকুন্দিয়া, কিশোরগঞ্জ; (৪) হাসান আহমদ সোবহানী (এমরান), প্রভাষক (ইংরেজী), হাজী এম এ কালাম সরকারী ডিগ্রী কলেজ, বান্দরবান; (৫) মোস্তাক আহমদ সোবহানী (রেজুয়ান), সমন্বয়ক, জনপদ, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ঢাকা; (৬) শফিক আহমদ সোবহানী (শিবলী), স্টোর অফিসার, আবুল খায়ের গ্রুপ; (৭) রফিক আহমদ সোবহানী (ইকবাল), সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষক, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ।

বুধবার (১১ জানুয়ারি ২০২৩) বড় মা হালিমা খাতুন এবং ছোট মা হামিদা বেগমের কাছ থেকে দোয়া ও বিদায় নিয়ে একত্রে সাত ভাই পবিত্র ওমরাহ পালনের উদ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। রবিবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা সৌদি আরবের উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। 

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পবিত্র সৌদি আরবে তারা মোট ১১ দিন অবস্থান করবেন। ওমরাহ হজ্ব পালনের পাশাপাশি পবিত্র মক্কা ও মদীনা নগরীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। তারা সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন।